সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রায় ৪০ কেজি ওজনের মুঠোফোন!




গাড়ীর পিছনে ডেকে ৩৭ কেজি ওজনের CAR PHONE হতে ১৫০-২৫০ গ্রামের টাচ স্ক্রীন প্রযুক্তিযুক্ত ফোন! ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের CAR PHONE হতে বর্তমানের স্মার্টফোন যুগে পৌছাতে শুধুই যে ২৪৬ গুণ ওজন এবং আকৃতিতে কমেছে তাই নয় কিন্তু পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক প্রযুক্তিগত  বাঁধা।





যদিও প্রথম মোবাইল ফোনের কথা মনে পরলে আমাদের মনে ভেসে ওঠে একটি BAR PHONEআলোকচিত্র!
 যাই হোক CAR PHONE কাজ করত একটি লোকাল নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মতো!রাস্তায় এবং আশেপাশে থাকা গাড়ীর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি লাভ করত! কিন্তু দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়তে লাগল কার ফোনের নেটওয়ার্কেও ট্রাফিক জামের মত সিরিয়াল বাড়তে লাগল! দেখা যেত একটা সময়ে গিয়ে কাউকে কল দেবার জন্য সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকা লাগত! কিন্তু ১৯৭৩ খীষ্টাব্দে এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আসেন মোটোরোলা কোম্পানির একজন প্রকৌশলী মার্টিন কুপার! তিনি পৃথিবীকে দেখান মোবাইল নেটওয়ার্কের ভবিষ্যৎ কিরূপ হতে চলেছে! তিনি ড্যানাটেক ৮০০০ক্স- জানি আপনার মনে হচ্ছে আহহহ কি এটা?



এটি আর কিছু নয় সেই বার ফোন! আজকের টাকায় প্রায় ১৩৩০ কোটি টাকা ব্যয় এবং প্রায় ১০ বছর পর মোটরোলা তাদের ড্যানাটেক ৮০০০ক্স মোডেলের হাতে বহনযোগ্য মোবাইলফোন জনসাধারণের জন্য বাজারে আনে! যেটি বর্তমানের ১২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা সমমূল্যে বাজারে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়! ১০ বছর সময় লেগেছিল কারণ সেলুলার টাওয়ার স্থাপন করতে হয়েছিল যেহেতু সেই সময় প্রযুক্তি এই ফোনের জন্য প্রস্তুত ছিল না! এর পর আরকি- একের পর এক প্রযুক্তি গত উন্নয়ন! ভিন্ন মডেলের বার ফোন থেকে আরও ক্ষুত্র আকৃতি ফোন! এদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কিছু ফোন হলঃ

আই বি এম- সাইমন(১৯৯৪)

*এটি ছিল প্রথম স্মার্টফোন!
* প্রথম টাচস্ক্রিন ফোন!
* এবং এই ফোনের প্রথম সফটওয়ার অ্যাপ ছিল!

যার দাম বর্তমানের ২ লক্ষ টাকার মত !

এর পর অনেক ধরণের ফ্লিপফোন এবং কুয়েট্রি কি-বোর্ড ওয়ালা ফোন বের হয়!

কিন্তু ২০০৭ এ আইফোন মুঠোফোনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়! যার ফল আমাদের আজকের সকল স্মার্টফোন! হোক
android or ios or lunix  সকল বর্তমান স্মার্টফোন এর পর থেকে একই ধারা অনুসরণ করছে! হয়ত সামনে পিছে নতুন ক্যামেরা যুক্ত হচ্ছে অথবা প্রসেসর-র‍্যাম-স্টোরেজ বাড়ছে কিন্তু একই জিনিস অব্যাহত আছে!


আহহ এতো ছিল মুঠোফোনের একাল-সেকাল!  আবেগ-আপ্লুত হলে পড়ে আসতে পারেন আমাদের অন্যান্য কয়েকটি ব্লগ পোষ্ট!

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পিপীলিকাঃ- "একতা"

"একতা",শব্দটা ছোট তবে অর্থটি হলো প্রগাঢ়। মানুষ থেকে শুরু করে, সমুদ্রের দানব খ্যাত নীল তিমি,, ডলফিন কিনবা জিরাফ, মৌমাছি কিনবা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এদের প্রত্যেকটিই হলো একতা ও দলবদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকার উদাহরণ।কিন্তু আজকে আমি কথা বলতে চাচ্ছি একটা অদ্ভুত, আশ্চর্যজনক তবুও বাস্তব একটি প্রাণী জগত নিয়ে যারা আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে " হায়,ঈশ্বর এটা কিভাবে সম্ভব! " আজকের আলচ্য প্রাণী হলো ডায়নোসরের যুগ থেকে লড়াই করে বেঁচে থাকা আজকের পৃথিবীর সকল দেশে বিরাজ করা" পিঁপড়ে"। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল এবং অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাণীর মধ্যে অন্যতম হলো পিঁপড়ে।বিজ্ঞানীদের গবেষণা মতে পৃথিবীতে পিঁপড়ের প্রথম আবির্ভাব হয়েছিলো,১৪০-১৬৮মিলিয়ন বছর আগে জুরাসিক সময়ের মধ্যে যখন পৃথিবীতে ডায়নোসর বিরাজ করতো এবং উদ্ভিদের মধ্যে ফার্ন এবং পাইন নামক উদ্ভিদ জন্মাত।উক্ত সময়টিতে বর্তমান পৃথিবীর মহাদেশ গুলো বিভক্ত ছিলো না।তখন সুপারকন্টিনেন্ট অর্থাৎ ইউরেশিয়া ও গন্ডোয়ানা ছিলো।তবে সময়ের সাথে সাথে ঘটে নানা বৈরিতা।জলবায়ু পরিবর্তন কিনবা প্রাকৃতিক দূর্যোগ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।ফলে সুপারকন্টিনেন্ট বিভক্ত হয়ে বর্তম...