সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

 


মানব জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  আবিষ্কার: ৩-৪ চাকার যাত্রা!



প্রায় হাজার বছর ধরে মানুষ ভ্রমণের নানা পন্থা নিয়ে গবেষণা করছে! সময়ের সাথে সাথে যা আরও কার্যকর ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে! মোটরযান জন সাধারণের যাতায়াত ব্যবস্থায় এক বিপ্লবী পরিবর্তন এনেছে। মোটরযান কে, কবে এবং কারা আবিষ্কার করেছে তা এক কথায় বলা দুষ্কর কিন্তু এটি হচ্ছে বিগত কিছু শতাব্দীর বেশকিছু আবিষ্কারের স্মম্বনয়! মানব জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলো মোটরযান এবং এর ইতিহাস বৈচিত্রময়!


                               


১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের আগে
, বেশিরভাগ মানুষ যেখানে জন্মগ্রহণ করেছিল তার কয়েক মাইলের মধ্যে তাদের জীবন অতিবাহিত করমোটরযান আবিষ্কার, মানুষ যাত্রা অনেক তাই শুখকর করেছে। যদিও এই সাফল্যে অনেকের অবদান রয়েছে তবে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কার্যকার গাড়ির মডেল ডিজাইন এবং প্যাটেন্টের জার্মান ইঞ্জিনিয়ার কার্ল বেনয এর এবং এই ঘটনা ঘটে ১৮৮৫ সালের আশেপাশে এবং এর নাম ছিল মোটরওয়াগেন। কিন্তু ১৯০১ সাল এ প্রথম আধুনিক মোটরযান আবিষ্কারের কৃত্বিত্ত হল গত্তলিএব ওয়িলহেল্ম দাইম্লের এবং ওয়িলহেল্ম মায়বাছ এর। গাড়িটির ইঞ্জিন চালিত হতো ৩৫ হর্সপাওয়ার দ্বারা এবং এক একটি হর্সপাওয়ারের ওজন ছিল ১৪ পাউন্ড। যদি গতির কথা বলি তবে এর গতি ছিল ৫৩ মাইল প্রতি ঘণ্টা।


Ford Model T
 

১৯০৮ নাগাদ হেনরি ফোর্ড নামক এক ব্যক্তি মডেল “টি” নামের একটি গাড়ি আবিষ্কার এবং বাজারজাত করে যার মূল্য ছিল ৮২৫ মার্কিন ডলার। এই গাড়িটির বিশেষত্ব হল এটি ২০ হর্সপাওআরের ইঞ্জিন দ্বারা চালিত এবং ইহা ছিল ৪ সিলিন্দার ইঞ্জিন বিশিষ্ট যান। গাড়িটিকে চালানো ছিল খুবই সহজ। মডেল “টি” এর আবিষ্কারের মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য ব্যক্তিকত গাড়ী তৈরির চিন্তা বাস্তবায়ন হয়।

 


অটোমোবাইলের জন্য অনেক শিল্পের ইতিবাচক পরিবর্তনের হয় যেমন পেট্রোলিয়াম কিংবা ইস্পাত শিল্প। বিশ্বের যেকোনো স্থানে দ্রুত পর্যটন বৃদ্ধি বা বাইরের বিনোদন বৃদ্ধিতে এই অটোমোবাইলের হাত রয়েছে। এই সম্প্রসারণের ফলে অনেক নতুন সার্ভিস স্টেশন, রেস্তোরা, মোটেল ও সড়ক এবং মহাসরক তৈরি করা হয় যা এই পৃথিবীতে বিপ্লব ঘটায়, নতুন বদল আনে এবং আজকে আমরা তার সাক্ষী। 

 *এতো ছিল গাড়ীর একাল-সেকাল!  আরও কৌতুহলী হলে পড়ুনঃ


 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পিপীলিকাঃ- "একতা"

"একতা",শব্দটা ছোট তবে অর্থটি হলো প্রগাঢ়। মানুষ থেকে শুরু করে, সমুদ্রের দানব খ্যাত নীল তিমি,, ডলফিন কিনবা জিরাফ, মৌমাছি কিনবা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এদের প্রত্যেকটিই হলো একতা ও দলবদ্ধ হয়ে বেঁচে থাকার উদাহরণ।কিন্তু আজকে আমি কথা বলতে চাচ্ছি একটা অদ্ভুত, আশ্চর্যজনক তবুও বাস্তব একটি প্রাণী জগত নিয়ে যারা আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে " হায়,ঈশ্বর এটা কিভাবে সম্ভব! " আজকের আলচ্য প্রাণী হলো ডায়নোসরের যুগ থেকে লড়াই করে বেঁচে থাকা আজকের পৃথিবীর সকল দেশে বিরাজ করা" পিঁপড়ে"। পৃথিবীর সবচেয়ে সফল এবং অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাণীর মধ্যে অন্যতম হলো পিঁপড়ে।বিজ্ঞানীদের গবেষণা মতে পৃথিবীতে পিঁপড়ের প্রথম আবির্ভাব হয়েছিলো,১৪০-১৬৮মিলিয়ন বছর আগে জুরাসিক সময়ের মধ্যে যখন পৃথিবীতে ডায়নোসর বিরাজ করতো এবং উদ্ভিদের মধ্যে ফার্ন এবং পাইন নামক উদ্ভিদ জন্মাত।উক্ত সময়টিতে বর্তমান পৃথিবীর মহাদেশ গুলো বিভক্ত ছিলো না।তখন সুপারকন্টিনেন্ট অর্থাৎ ইউরেশিয়া ও গন্ডোয়ানা ছিলো।তবে সময়ের সাথে সাথে ঘটে নানা বৈরিতা।জলবায়ু পরিবর্তন কিনবা প্রাকৃতিক দূর্যোগ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।ফলে সুপারকন্টিনেন্ট বিভক্ত হয়ে বর্তম...

প্রায় ৪০ কেজি ওজনের মুঠোফোন!

গাড়ীর পিছনে ডেকে ৩৭ কেজি ওজনের CAR PHONE হতে ১৫০-২৫০ গ্রামের টাচ স্ক্রীন প্রযুক্তিযুক্ত ফোন! ১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দের CAR PHONE হতে বর্তমানের স্মার্টফোন যুগে পৌছাতে শুধুই যে ২৪৬ গুণ ওজন এবং আকৃতিতে কমেছে তাই নয় কিন্তু পেরিয়ে আসতে হয়েছে অনেক প্রযুক্তিগত  বাঁধা। যদিও প্রথম মোবাইল ফোনের কথা মনে পরলে আমাদের মনে ভেসে ওঠে একটি BAR PHONEআলোকচিত্র!  যাই হোক CAR PHONE কাজ করত একটি লোকাল নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মতো! রাস্তায় এবং আশেপাশে থাকা গাড়ীর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক বিস্তৃতি লাভ করত! কিন্তু দিন দিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়তে লাগল কার ফোনের নেটওয়ার্কেও ট্রাফিক জামের মত সিরিয়াল বাড়তে লাগল! দেখা যেত একটা সময়ে গিয়ে কাউকে কল দেবার জন্য সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকা লাগত! কিন্তু ১৯৭৩ খীষ্টাব্দে এই সমস্যার সমাধান নিয়ে আসেন মোটোরোলা কোম্পানির একজন প্রকৌশলী – মার্টিন কুপার! তিনি পৃথিবীকে দেখান মোবাইল নেটওয়ার্কের ভবিষ্যৎ কিরূপ হতে চলেছে! তিনি ড্যানাটেক ৮০০০ক্স- জানি আপনার মনে হচ্ছে আহহহ কি এটা? এটি আর কিছু নয় সেই বার ফোন! আজকের টাকায় প্রায় ১৩৩০ কোটি টাকা ব্যয় এবং প্রায় ১০ বছর পর মোটরোলা তাদ...