মানব জাতির সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার: ৩-৪ চাকার যাত্রা!
১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের আগে, বেশিরভাগ মানুষ যেখানে জন্মগ্রহণ করেছিল তার কয়েক মাইলের মধ্যে তাদের জীবন অতিবাহিত করত। মোটরযান আবিষ্কার, মানুষ যাত্রা অনেক তাই শুখকর করেছে। যদিও এই সাফল্যে অনেকের অবদান রয়েছে তবে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে কার্যকার গাড়ির মডেল ডিজাইন এবং প্যাটেন্টের জার্মান ইঞ্জিনিয়ার কার্ল বেনয এর এবং এই ঘটনা ঘটে ১৮৮৫ সালের আশেপাশে এবং এর নাম ছিল মোটরওয়াগেন। কিন্তু ১৯০১ সাল এ প্রথম আধুনিক মোটরযান আবিষ্কারের কৃত্বিত্ত হল গত্তলিএব ওয়িলহেল্ম দাইম্লের এবং ওয়িলহেল্ম মায়বাছ এর। গাড়িটির ইঞ্জিন চালিত হতো ৩৫ হর্সপাওয়ার দ্বারা এবং এক একটি হর্সপাওয়ারের ওজন ছিল ১৪ পাউন্ড। যদি গতির কথা বলি তবে এর গতি ছিল ৫৩ মাইল প্রতি ঘণ্টা।
১৯০৮ নাগাদ হেনরি ফোর্ড নামক এক ব্যক্তি মডেল “টি” নামের একটি গাড়ি আবিষ্কার এবং
বাজারজাত করে যার মূল্য ছিল ৮২৫ মার্কিন ডলার। এই গাড়িটির বিশেষত্ব হল এটি ২০ হর্সপাওআরের
ইঞ্জিন দ্বারা চালিত এবং ইহা ছিল ৪ সিলিন্দার ইঞ্জিন বিশিষ্ট যান। গাড়িটিকে চালানো
ছিল খুবই সহজ। মডেল “টি” এর আবিষ্কারের মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য ব্যক্তিকত গাড়ী তৈরির
চিন্তা বাস্তবায়ন হয়।
অটোমোবাইলের জন্য অনেক শিল্পের ইতিবাচক পরিবর্তনের হয় যেমন পেট্রোলিয়াম কিংবা ইস্পাত
শিল্প। বিশ্বের যেকোনো স্থানে দ্রুত পর্যটন বৃদ্ধি বা বাইরের বিনোদন বৃদ্ধিতে এই অটোমোবাইলের
হাত রয়েছে। এই সম্প্রসারণের ফলে অনেক নতুন সার্ভিস স্টেশন, রেস্তোরা, মোটেল ও সড়ক এবং
মহাসরক তৈরি করা হয় যা এই পৃথিবীতে বিপ্লব ঘটায়, নতুন বদল আনে এবং আজকে আমরা তার সাক্ষী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন